নিজস্ব প্রতিবেদক, নভেম্বর ১২, ২০২৩, সময়: রাত ১০:২১ পি.এম
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি- জামায়াত ও শরিক দলের ডাকা ৪র্থ বারের মত ২ দিনের অবরোধের প্রথম দিন।
আজ সকাল থেকেই চট্টগ্রাম নগরীতে স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অফিসগামী কর্মী ও পোশাক শিল্পের কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
সড়কে মানুষ ও গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের মতো। এসব এলাকায় অবরোধের তেমন কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। বাস, মিনিবাস, লেগুনা, সিএনজির পাশাপাশি চলাচল করতে দেখা গেছে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেল ও স্টাফ বাস।
নগরীর এ.কে.খান মোড় থেকে কুমিল্লা, ফেনি ও ঢাকার উদ্যেশ্যে এনা পরিবহন ও জিএম ট্রাভেলস এর বেশ কয়েকটি বাস দুপুর ২:৪০ মিনিটে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় অবরোধ থাকায় তারা কিছুটা চিন্তিত তবে প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে বলেন তারা।
নগরীর এ.কে.খান মোড়ে অবরোধে কোন হামলা বা নাশকতা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিএমপির সহকারি উপ পুলিশ পরিদর্শক এস আই রফিকুল ইসলাম বলেন, অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মানুষজন স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। চট্টগ্রাম নগরীতে আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি যেন না ঘটে সেদিকে নজর রাখছে আমাদের পুলিশের টিম। চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো যেমন সিটি গেইট, এ.কে. খান মোড়, অলংকার মোড়, বড়পোল, আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন সহ আরো কয়েকটি স্থানে আমাদের সিএমপির পুলিশের টিম কাজ করছে।
অন্যদিকে নাশকতা ঠেকাতে বিকেল ৪ টায় পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) রোডে বিজিবির কয়েকটি গাড়ীকে টহল দিতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিক দলগুলো। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। আর আজ থেকে শুরু হলো চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ।