সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। গুপ্তছড়া-কুমিরা নৌঘাটের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বকেয়া রাখার কারণে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করে দেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা এনামুল হক শুনানি শেষে মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। সকালে শুনানি শুরু হলে তাকে বিকাল ৩টার মধ্যে পাওনা টাকা জমা দিয়ে জেলা পরিষদ থেকে ছাড়পত্র আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু আনোয়ার হোসেন সেই ছাড়পত্র আনতে পারেননি। চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম আনোয়ার হোসেনের কাছে জেলা পরিষদ সন্দ্বীপ-কুমিরা নৌঘাটের ইজারা বাবদ ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, ভ্যাট ট্যাক্সসহ সাড়ে ৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। সমুদয় অর্থ বুধবার বিকাল ৩টার মধ্যে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদের বিপুল টাকা দেনা রেখে আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। আমরা কমিশনে এ জন্য আপত্তি দিয়েছি।
সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য মগধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এখন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তার আম-ছালা দুটোই গেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাচনে সোমবার ছিল মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। আনোয়ার হোসেন ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দীন মিশন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট নাজিম জামশেদ ও শেখ মুহাম্মদ জুয়েল। বুধবার বাছাইয়ের দিনে আনোয়ার হোসেন ছাড়াও শেখ মুহাম্মদ জুয়েলেরও মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। সন্দ্বীপ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৬ জন, পুরুষ ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯, মহিলা ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৫ জন।
সৌজন্যে: দৈনিক যুগান্তর অনলাইন