চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় পাঁচ পৌর কাউন্সিলরের বাড়িতে একযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার ভোরে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মহি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোবারক মাহমুদ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে তারা অভিযোগ করেন। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন, তাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই ১৫-২০ জন সন্ত্রাসীর একটি করে দল হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িতে ভাংচুর করে এবং দরজা-জানালা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এছাড়া মাইনুদ্দিন মহি ও মোবারক মাহমুদের বাড়িতে গুলি চালানো হয়। পাশাপাশি তাদের কার্যালয়েও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
এছাড়া সন্ত্রাসীরা এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের সপরিবারে সন্দ্বীপ ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়— এমন অভিযোগ করে কাউন্সিলররা বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা। তিনি সমকালকে বলেন, হামলার অভিযোগ সত্য নয়। তার কোনো অনুসারী কাউন্সিলরদের ওপর হামলা চালায়নি।
সন্দ্বীপ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মহি জানান, ভোরে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাকে সপরিবারে ১ ঘণ্টার মধ্যে সন্দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়।
তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের পাশাপাশি গুলিও চালায়। গুলি টিন ছিদ্র হয়ে একটি ঘরে ঢুকে যায়। ওই ঘরে তার মা থাকেন। তবে গুলির সময় তা মা ঘরে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
মহি অভিযোগ করেন, এমপির অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে তার বাড়িসহ পাঁচ কাউন্সিলরের বাড়িতে একযোগে হামলা চালানো হয়েছে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোবারক মাহমুদ জানান, জেলা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তিনি বিষয়টি অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তারা তাকে জানিয়েছেন।
এদিকে এমপি মাহফুজুর রহমান মিতাই অনুসারীদের দিয়ে পাঁচ কাউন্সিলরের বাড়িতে একযোগে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র জাফরুল্লাহ টিটুও। তিনি বলেন, ‘এমপি একচ্ছত্র আধিপত্য নিশ্চিত করতে অনুসারীদের দিয়ে একযোগে পাঁচ কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এতে করে পৌরসভার কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক কাউন্সিলর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’
সন্দ্বীপের অবস্থানরত এএসপি আমেনা বেগম জানান, হামলার অভিযোগ পেয়ে তিনি সন্দ্বীপে এসেছেন। বিষযটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুত্রঃ ডেস্ক রিপোর্ট ও দৈনিক সমকাল।