কুমিরা গুপ্তছড়া- নৌ রুটের কুমিরা অংশের জেটির সিড়ির অগ্রভাগ ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে জেটিতে যাত্রী উঠানামা। এদিকে ভাটার সময় যাত্রীদের নামতে হয় কাঁদামাটিতে। বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ ৪০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নিজস্ব খরচে জেটি নির্মান দায়িত্ব হাতে নেন এছাড়া এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যায়ে সোলার বাতি যাত্রী ছাউনি সম্প্রসারন ও করছেন কতৃপক্ষ। বর্তমান জেটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশের পূর্ব দক্ষিনে জেটি নির্মান করা হবে, ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যে হবে জেটির।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জেটির বিশেষ কাঠামোর জন্য লোহার পাইপ ও এ্যানগেল গুলো রং দেওয়া এবং পাইপ গুলো যুক্ত করার কাজ শেষ পর্যায়ে।
জেটির কাজের অগ্রগতি বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহি প্রকৌশলী মো: আশরাফ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হয় আজ সকালে। তিনি সন্দ্বীপ টিভিকে বলেন অতিরিক্ত জোয়ার এবং ঢেউয়ের তীব্রতা বেশী থাকায় গতকাল কাজ শুরুর চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। আজ বিকাল থেকেই লোহার কাঠামো দিয়ে কাজ শুরু করবেন বলে জানান।
সন্ধার পর জেটিতে অন্ধকার থাকায় রাতে কোন জরুরী রোগী ও যাত্রী পারাপারের জন্য কষ্ট হয়, জেটিতে পর্যান্ত আলোর ব্যবস্থার জন্য বর্তমানে চারটি সোলার লাইট স্থাপন করা হয়। কুমিরা যাত্রী ছাউনি যেটি আছে সেটিকে আরো বর্ধিত করা হবে বলে জানান নির্বাহি প্রকৌশলী।
এদিকে সন্দ্বীপ থেকে আসা প্রবাসী নাছির উদ্দীন নামের এক যাত্রী বলেন, এখন ভাটা হচ্ছে তাই আমাদের তেমন কষ্ট হয়নি তবে ১-২ ঘন্টা পর যারা আসা যাওয়া করবেন তখন ভাটা থাকবে সকলের দূর্ভোগ এর শেষ থাকবে না। দ্রুত এ অস্থায়ী জেটি নির্মান শেষ করার দাবী জানান এ প্রবাসী।