সন্দ্বীপে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌ পথ, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ৫ লক্ষ সন্দ্বীপবাসী পায়নি নিরাপদ নৌ রুট। বিশেষ করে রোগী পারাপারে নেই আধুনিক কোন সী এ্যাম্বুলেন্স।
সন্দ্বীপে বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপক শরীফ সাইফ উল্লাহ মুঠোফোনে চট্টগ্রাম খবর কে বলেন মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রসব বেদনা নিয়ে সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন কুলসুমা বেগম ৩০। প্রসুতি মহিলার বাড়ী সন্দ্বীপ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে। তীব্র প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ওনাকে ঝুঁকিপূর্ণ রোগী হিসেবে চিহ্নিত করেন।
রাত সাড়ে তিনটায় যখন হাসপাতালে ভর্তি হয় ওনার বিপি(ব্লাড প্রেসার) ৬০/৪০ পাওয়া যায় এছাড়া রোগীর কোন স্পন্দন পাওয়া যায় নি। রোগীর অবস্থা সংটাপন্ন হওয়াই রোগীকে দ্রুত চট্টগ্রামে সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
ভোর রাতে এমন সংটাপন্ন অবস্থা হওয়ায় রোগীকে নিয়ে বিপাকে পরেন রোগীর স্বজনেরা।
ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে সন্দ্বীপে গুপ্তছড়া ঘাটে অপেক্ষায় থাকে চট্টগ্রাম নেওয়ার জন্য। প্রায় ২ ঘন্টা অন্য কোন নৌযান না পেয়ে সকাল ৭ টায় এমভি আইভি রহমানে করে চট্টগ্রামে পৌছান।
নিহতের স্বামী সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানিয়েছেন যে তিনি কুলসুমা বেগমকে নিয়ে প্রথমে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে নেন। এ সময় চিকিৎসক কুলসুমাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তিনি লাশ নিয়ে আবার ১১ টার ট্রীপে এমভি আইভি রহমানে করে সন্দ্বীপের উদ্যেশ্যে রওনা দেন।
এদিকে প্রসুতি মহিলার মৃত্যু নিয়ে পুরো বিশ্বের সন্দ্বীপবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইতিপূর্বে সন্দ্বীপ নৌ রুটে রোগী পারাপারের জন্য দুটি সী এ্যাম্বুলেন্স দিলেও সেগুলো একদিনের জন্যও রোগী পারাপার করতে দেখা যায়নি।
ইতিপূর্বে দুটি সী এ্যাম্বুলেন্সই এ নদীর জন্য অনুপযোগী হিসেবে বলছেন সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলুল করিম।
সন্দ্বীপের নৌ রুটে দ্রুত দুটি সী এ্যাম্বুলেন্সের দাবী জানিয়ে সারাদিন ফেসবুক সরব ছিল।